বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে চাঁদা না পেয়ে সরকারি স্কুল ভবন নির্মাণ কাজের সহকারী ঠিকাদার মো. মিলনকে মেরে দুই লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৩০ আগস্ট) বিকেলে ওই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মামুনুর রশীদ এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
এর আগে গত শনিবার (২৯ আগস্ট) রাতে মধ্য হামছাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের অস্থায়ী ঘরে ঢুকে মিলনকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। এ সময় তার কাছে থাকা শ্রমিকদের বেতন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, দুটো মোবাইল ও বিকাশের পিন নম্বর নিয়ে যান তারা। বিকাশের ১৮ হাজার টাকা ছিল।
অভিযুক্তরা হলেন- সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের মধ্য হামছাদী গ্রামের কাউছার, নুর হোসেন বাচ্চু, পিন্টু, রিয়াজ, জুয়েল, ইউসুফ, সুমন, সফি উল্যা, জামাল ও আলমগীর। তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিয়া এন্টারপ্রাইজ টেন্ডারের মাধ্যমে মধ্য হামছাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের সরকারি কাজ পায়। ওই কাজের সহকারী ঠিকাদার হিসেবে মিলন দায়িত্ব পালন করেন। কাজের শুরু থেকে অভিযুক্তরা ঠিকাদারের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। সুষ্ঠুভাবে কাজ পরিচালনার জন্য বাধ্য হয়ে ঠিকাদার তাদেরকে মাঝেমধ্যে টাকা দেয়। কিন্তু তারা আরও বেশি চাঁদা চায়। দাবি করা চাঁদা না পেয়ে শনিবার রাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নির্মাণ কাজের অস্থায়ী ঘরে ঢুকে মিলনের কাছ থেকে ১৬০ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ও বিকাশের গোপন নাম্বার জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
পরে তাকে টেনে হেঁচড়ে পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে জখম করা হয়। খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ নিয়ে উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) হাফিজ উল্যা ঘটনাস্থল গিয়ে মিলনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাকে চিকিৎসা দিতে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। মিলনের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ইউপি সদস্য হাফিজ উল্যা বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে আহত অবস্থায় মিলনকে উদ্ধার করেছি। পরে স্কুল ভবন নির্মাণ কাজের ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আমার কাছে অভিযুক্তরা চাঁদা চেয়ে আসছে। চাঁদা না পেয়ে তারা আমার সহকারী ঠিকাদারকে মারধর করে টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। তাদের বাধার কারণে সরকারি কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ‘ঠিকাদারের অভিযোগটি পেয়েছি। তা তদন্তের জন্য উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অপরাধী কেউ পার পাবে না।’